আমাদের ওয়েবসাইটের বিদ্যমান অনেক Pdf, Book ,Course অনলাইনের বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহকৃত। কোন লেখক বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। কোন লেখক বা প্রতিষ্ঠানের আমাদের ওয়েবসাইটে বিদ্যমান কোন File সম্পর্কে অভিযোগ থাকলে আমাদের জানাবেন । আমরা সাথে সাথে File সরিয়ে ফেলব । আমাদের মেইল: bidyabatayon@gmail.com

বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিত ❖ পরিচ্ছেদ: ০৩

৯ম-১০ম বাংলা ব্যাকরণ
📕 বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিত (৯ম-১০ম)
✍️ পরিমার্জিত সংস্করণ:
• অক্টোবর ২০২৪ (২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য)
✅ পরিচ্ছেদ ৩ : বাংলা ভাষার রীতি ও বিভাজন।
📝 পৃষ্ঠা নং: ০৫, ০৬, ০৭,০৮

🔰 টপিক: বাংলা ভাষার রীতি ও বিভাজন

১. অধিকাংশ ভাষায় অন্তত কয়টি রীতি থাকে?
➣ ২টি।

যথা:
১. কথ্য ভাষা রীতি ও
২. লেখ্য ভাষা রীতি।
২. কথ্য ভাষা রীতির মধ্যে কয়টি রীতি রয়েছে ?
➣ ২টি।

যথা:
১. মান্য বা প্রমিত কথ্য রীতি ও
২. আঞ্চলিক কথ্য রীতি।
৩. লেখ্য ভাষা রীতির মধ্যে কয়টি রীতি রয়েছে ?
➣ ৩টি।

যথা:
১. প্রমিত রীতি,
২. সাধু রীতি ও
৩. কাব্য রীতি।

🔰 টপিক: কথ্য ভাষা রীতি

৪. ভাষার মূল রূপ কোনটি ?
➣ কথ্য ভাষা রীতি।
৫. কথ্য ভাষা রীতির উপরে ভিত্তি করে কোন রূপ তৈরি হয়?
➣ লেখ্য ভাষা রীতির।
৬. ভাষার পরিবর্তন হয় কীভাবে?
➣ স্থান ও কালভেদে।
৭. ভাষার যে পরিবর্তন ঘটে তা মূলত কীসের পরিবর্তন?
➣ কথ্য ভাষা রীতির।
৮. কথ্য ভাষা রীতির পরিবর্তনের ফলে কোন ভাষার জন্ম হয়?
➣ নতুন ভাষা ও উপভাষার।

🔰 টপিক: আঞ্চলিক কথ্য রীতি

৯. আঞ্চলিক ভাষার আরেক নাম কী?
➣ উপভাষা।
১০. ভাষার আঞ্চলিকতা কী নামে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে?
➣ উপভাষা।
১১. বাংলা ভাষার উপভাষাগুলোকে কয়টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে?
➣ ৬টি।

যথা:
১. বাঙ্গালি (বাংলাদেশের মধ্য ও দক্ষিণ অঞ্চল),
২. পূর্বি (বাংলাদেশের পূর্ব অঞ্চল, ত্রিপুরা এবং আসামের বরাক অঞ্চল),
৩. বরেন্দ্রি (বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল),
৪. কামরূপি (বিহারের পূর্ব অঞ্চল, পশ্চিমবঙ্গের উত্তর অঞ্চল এবং বাংলাদেশের রংপুর অঞ্চল),
৫. রাঢ়ি (পশ্চিমবঙ্গ),
৬. ঝাড়খণ্ডি (পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম অঞ্চল ও ঝাড়খণ্ডের পূর্ব অঞ্চল)।

🧠 মনে রাখার কৌশল:
রাঢ়ীর বাঙ্গালি বর পূর্বে ঝাড়ুর কাম (করত)।

➤ রাঢ়ির ⇒ রাঢ়ি
➤ বাঙ্গালি ⇒ বাঙ্গালি
➤ বর ⇒ বরেন্দ্রি
➤ পূর্বে ⇒ পূর্বি
➤ ঝাড়ুর ⇒ ঝাড়খণ্ডি
➤ কাম ⇒ কামরূপি।
১২. পশ্চিমবঙ্গের উপভাষার নাম কী?
➣ রাঢ়ী।
১৩. বাংলাদেশের মধ্য ও দক্ষিণ অঞ্চলের উপভাষার নাম কী?
➣ বাঙ্গালি।
১৪. বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের উপভাষার নাম কী?
➣ বরেন্দ্রি।
১৫. বাংলাদেশের রংপুর অঞ্চলের উপভাষার নাম কী?
➣ কামরূপি। (রূপের সঙ্গে রংপুরের কিছুটা মিল আছে)
১৬. বাংলাদেশের পূর্ব অঞ্চলের উপভাষার নাম কী?
➣ পূর্বি। (পূর্বর সাথে পূর্বির অনেকটাই মিল আছে)
১৭. ঝাড়খণ্ডের পূর্ব অঞ্চল ও পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম অঞ্চলের উপভাষার নাম কী?
➣ ঝাড়খণ্ডি। (ঝাড়খণ্ডের উপভাষা ঝাড়খণ্ডি)

🔰 টপিক: মান্য বা প্রমিত কথ্য রীতি

১৮. শিক্ষিত ও নাগরিক বাঙালি জনগোষ্ঠীর আনুষ্ঠানিক কথ্য ভাষা?
➣ মান্য বা প্রমিত কথ্য রীতি।
১৯. বাংলা প্রমিত লেখ্য রীতির ভিত্তি?
➣ মান্য বা প্রমিত কথ্য রীতি।

🔰 টপিক: লেখ্য ভাষা রীতি

২০. লিখিত বাংলা ভাষার আদি নিদর্শনের নাম?
➣ ‘চর্যাপদ’।
২১. চর্যাপদ কোন সময়ে লেখা?
➣ প্রায় এক হাজার বছর আগে।
২২. চর্যাপদ কোন রীতিতে লেখা?
➣ কাব্য রীতিতে।
২৩. লেখ্য গদ্য রীতির জন্ম হয় কেন?
➣ ব্যবহারিক প্রয়োজনে।
২৪. লেখ্য ভাষা রীতি হিসেবে সাধু রীতি প্রভাবশালী হয়ে ওঠে কখন?
➣ উনিশ শতকের সূচনায়।
২৫. কখন সাধু রীতির পাশাপাশি চলিত রীতি জনপ্রিয় হয়?
➣ বিশ শতকের সূচনায়।
২৬. চলিত রীতি প্রায় সর্বজনীন প্রমিত রীতি হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে কখন?
➣ বিশ শতকের দ্বিতীয় ভাগে। (এই তথ্যটি ২০২৫ সালের বইয়ে হালনাগাদ করা হয়েছে। আগের বইয়ে ছিল একুশ শতকের সূচনায়) ✓
২৭. বর্তমানে বাংলাভাষীরা আনুষ্ঠানিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোন রীতিকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে?
➣ প্রমিত বাংলা।

🔰 টপিক: সাহিত্যিক ভাষা রীতি

২৮. বাংলা কাব্য রীতি কয় ভাগে বিভক্ত?
➣ দুই ভাগে। ✓

যথা:
১. পদ্য কাব্য রীতি ও
২. গদ্য কাব্য রীতি।
২৯. ছন্দ এবং মিল থাকে কোন কাব্য রীতিতে?
➣ পদ্য কাব্য রীতিতে।
৩০. বাংলা ভাষার সবচেয়ে পুরনো রীতি কোনটি?
➣ পদ্য কাব্য রীতি।
৩১. বাংলা সাহিত্যের বহু অমর কাব্য কোন রীতিতে রচিত?
➣ পদ্য কাব্য রীতি।
৩২. গঠন বিবেচনায় কোন কাব্য রীতির বাক্য সাধারণ বাক্যের চেয়ে আলাদা হয়ে থাকে?
➣ গদ্য কাব্য রীতি।

🔰 টপিক: সাধু রীতি

৩৩. দাপ্তরিক কাজ, সাহিত্য রচনা, যোগাযোগ ও জ্ঞানচর্চার প্রয়োজনে লেখ্য বাংলা ভাষায় কোন রীতির জন্ম হয়?
➣ সাধু রীতির।
৩৪. সাধু রীতির বিকাশ ঘটে কখন?
➣ উনিশ শতকের শুরুর দিকে।
৩৫. বাংলা লেখ্য ভাষার আদর্শ রীতি হিসেবে কতদিন চালু ছিল?
➣ প্রায় দেড় শতাব্দী। (এই তথ্যটি ২০২৫ সালের ব্যাকরণ বইয়ে হালনাগাদ করা হয়েছে। আগের বইয়ে ছিল দুই শতাব্দী)
৩৬. সাধু রীতির সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলো কী কী?
➣ ক) সাধু রীতিতে ক্রিয়ারূপ দীর্ঘ। যেমন: করিতেছে, করিল।
➣ খ) সাধু রীতির বহু সর্বনামে ‘হ’-বর্ণ যুক্ত থাকে, যেমন তাহারা, ইহাদের, যাহা, তাহা ইত্যাদি।
➣ গ) সাধু রীতিতে তৎসম শব্দ এবং সাধিত শব্দের প্রাধান্য থাকে।
৩৭. কোন রীতিতে ক্রিয়ারূপ দীর্ঘ?
➣ সাধু রীতিতে।
৩৮. সাধু রীতির বহু সর্বনামে কী যুক্ত থাকে?
➣ হ। যেমন: তাহারা, যাহারা, ইহা। ✓
৩৯. সাধু রীতিতে কোন ধরনের শব্দের প্রাধান্য থাকে?
➣ তৎসম ও সাধিত শব্দের।

🔰 টপিক: প্রমিত রীতি

৪০. কলকাতার শিক্ষিত লোকের কথ্য ভাষাকে লেখ্য রীতির আদর্শ হিসেবে চালু করার চেষ্টা হয় কখন?
➣ বিশ শতকের সূচনায়।
৪১. কলকাতার শিক্ষিত লোকের কথ্য ভাষা কী নামে পরিচিতি পায়?
➣ চলিত রীতি।
৪২. চলিত রীতির বৈশিষ্ট্যগুলো কী কী?
➣ এই রীতিতে ক্রিয়া, সর্বনাম, অনুসর্গ প্রভৃতি শ্রেণির শব্দ হ্রস্ব হয় এবং তৎসম শব্দের ব্যবহার অপেক্ষাকৃত কম।
৪৩. কোন রীতিতে ক্রিয়া, সর্বনাম ও অনুসর্গ সংক্ষিপ্ত/হ্রস্ব হয়?
➣ চলিত রীতিতে।
৪৪. প্রথম দিকে চলিত রীতিতে শুধু কী রচিত হতো?
➣ সাহিত্য।
৪৫. দাপ্তরিক কাজ ও বিদ্যাচর্চা ইত্যাদি হতো কোন ভাষায়?
➣ সাধু ভাষায়।
৪৬. চলিত রীতি সাধু রীতির জায়গা দখল করে কখন?
➣ বিশ শতকের মাঝামাঝি।
৪৭. ক্রমে জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাধু রীতিকে সরিয়ে কোন রীতি মান্য লেখ্য রীতিতে পরিণত হয়?
➣ চলিত রীতি।
৪৮. চলিত রীতিই ক্রমে কোন রীতি হিসেবে গৃহীত হয়েছে?
➣ প্রমিত রীতি।
৪৯. কোনো ভাষার আনুষ্ঠানিক ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত মান্য রীতি কোনটি?
➣ প্রমিত রীতি হলো।
৫০. প্রমিত রীতি কোন নামেও পরিচিত?
➣ এটি ‘মান রীতি’।
৫১. বর্তমানে বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরায় যাবতীয় দাপ্তরিক কাজ, বিদ্যাচর্চা, সাংবাদিকতা ও যোগাযোগের ভাষা হিসেবে কোন রীতি লেখ্য বাংলা ভাষার প্রধান রীতিতে পরিণত হয়েছে?
➣ প্রমিত রীতি।

🔰 টপিক: প্রমিত রীতির সাধারণ বৈশিষ্ট্য

*** ক) প্রমিত রীতিতে ক্রিয়া, সর্বনাম ও অনুসর্গ হ্রস্বতর। করছে, করল, তারা, যারা, হতে, থেকে, সঙ্গে ইত্যাদি।
*** খ) প্রমিত রীতিতে শব্দ ব্যবহার আলোচ্য বিষয়ের উপরে নির্ভরশীল। প্রয়োজন অনুযায়ী সব ধরনের শব্দ ব্যবহার করা যায়। যেমন তৎসম ‘বৎসর’-ও লেখা যায় আবার তদ্ভব ‘বছর’-ও লেখা যায়। একইভাবে ‘চন্দ্র’-ও লেখা যায়, ‘চাঁদ’-ও লেখা যায়।
*** গ) প্রমিত রীতিতে কথ্য রীতির বহু শব্দ বর্জনীয়, যেমন ‘ধুলো, তুলো, মুলো, পুজো, সবচে’ ইত্যাদি না লিখে ‘ধুলা, তুলা, মুলা, পূজা, সবচেয়ে’ ইত্যাদি লিখতে হয়।
৫২. কোন রীতিতে শব্দ ব্যবহার আলোচ্য বিষয়ের উপরে নির্ভরশীল এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সব ধরনের শব্দ ব্যবহার করা যায়?
➣ প্রমিত রীতিতে।
৫৩. প্রতিটি বাঙালি শিশুর মাতৃভাষা বা প্রথম ভাষা হলো তার?
➣ আঞ্চলিক ভাষা।
৫৪. বাঙালি শিশুর কাছে দ্বিতীয় ভাষা কোনটি?
➣ প্রমিত কথ্য বা লেখ্য প্রমিত।
৫৫. শিশুর প্রমিত রীতি শেখার প্রধান উপায়?
➣ পাঠ্যপুস্তক।

☑ অনুশীলনী প্রশ্ন সমাধান

১. বর্তমানে লেখ্য ভাষার আদর্শ রীতিকে বলে ?
উত্তর: ঘ. প্রমিত রীতি ✓
২. বাংলা ভাষায় সাধু গদ্য রীতির সূচনা হয় ?
উত্তর: গ. উনিশ শতকের শুরুতে ✓
৩. নিচের কোনটি সাধু রীতির ক্রিয়াপদ ?
উত্তর: ক. করিল ✓
৪. সাধু রীতির বৈশিষ্ট্য কোনটি ?
উত্তর: ক. ক্রিয়ারূপ দীর্ঘ ✓
৫. বাংলাদেশের রংপুর অঞ্চলে কোন উপভাষার ব্যবহার পাওয়া যায় ?
উত্তর: গ. কামরূপি ✓
⚠️ কপিরাইট: এই নোটটি বিদ্যা বাতায়ন টিমের তৈরিকৃত। শেখার স্বার্থে বা শেখানোর জন্য আমাদের প্ল্যাটফর্মের লিংক শেয়ার করুন। কপি করে নিজের নামে চালানো অনুচিত। অন্তত প্রস্তুতকারকের ক্রেডিট দিন।
📌 সতর্কতা: আমাদের এই নোটের তথ্যে কোন প্রকার ভুল থাকলে আমাদের পেজে ইনবক্স করবেন অবশ্যই । আমরা নোট আপডেট করে দেবো ।

Post a Comment

0 Comments

Facebook Telegram YouTube WhatsApp
👆